মধুমতীর ভাঙন থেকে ঘরবাড়ি-সড়ক বাঁচাতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মধুমতী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চাপুলিয়া এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মধুমতী নদীর ভাঙন থেকে ঘরবাড়ি ও সড়ক বাঁচাতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়ায় মধুমতী নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন করা হয়।

ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে শতাধিক লোকজন অংশ নেন। সেখানে বক্তব্য দেন কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ইব্রাহিম মোল্যা, স্থানীয় টোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সি আমিরুল ইসলাম, শিক্ষক শামীম মুন্সি, নান্নু শিকদার, মো. আকবার, ইমদাদুল হক প্রমুখ।

শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা নদীভাঙনের কবলে আছে। এর আগে আমাদের এলাকার ৪০০-৫০০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। তারা এখন বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় এখন যাঁরা আছেন, তাঁরাও বেশি দিন থাকতে পারবেন না। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর ৩০০ ফুটের মতো নদীর পাড়ে বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো অনেক বাঁধ প্রয়োজন।’

নান্নু শিকদার বলেন, ‘আমরা খুব অবহেলিত। নদীভাঙনে অনেক ঘরবাড়ি চলে গেছে। আরও অনেক বাড়ি হুমকির মধ্যে আছে। আমাদের চলাচলের জন্য একমাত্র রাস্তা, যেখান দিয়ে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটির করুণ অবস্থায় জরুরি মুহূর্তে কোনো রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে ঘাড়ে করে নিতে হয়। এক কিলোমিটার যাওয়ার পর যানবাহনে ওঠাতে হয়।’

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন চাপুলিয়া, মঙ্গলপুর, বরফা, চর বরফা, খাশিয়ালসহ প্রায় ১০টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হবে। ভাঙনের মুখে আছে নদীপারের চার শতাধিক ঘরবাড়ি, চারটি মসজিদ ও দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্যা বলেন, রাস্তার পাশে বাঁশ ও বস্তা দিয়ে যে বাঁধটা দেওয়া হয়েছে, সেটি গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা উঠিয়ে করা হয়েছে। যেকোনো সময় এই বাঁধ নদীতে ভেঙে যাবে। এ সমস্যা কারও চোখে পড়ে না। কারণ, তাঁরা জেলার শেষ প্রান্তের বাসিন্দা।