দুই আসনেই ‘একতারা’ প্রতীক চাইলেন হিরো আলম
হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পরের দিন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম ‘একতারা’ প্রতীক বরাদ্দ চেয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম প্রথমে পছন্দের ‘সিংহ’ প্রতীক নেওয়ার কথা জানান। কিন্তু সিংহ প্রতীক রাজনৈতিক দলের জন্য নিবন্ধিত আছে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে হিরো আলম ‘একতারা’ প্রতীক বরাদ্দ চান।
এ সময় মাহমুদ হাসান আবেদন গ্রহণ করে হিরো আলমকে জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বেলা দুইটায় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
হিরো আলম এ সময় প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের এক দিনের মাথায় প্রতীক বরাদ্দ নিতে এখানে এসেছি। আমার পছন্দের প্রতীক ছিল সিংহ। কারণ, ২০১৮ সালে সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি। কিন্তু সিংহ রাজনৈতিক দলের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানানো হলে একতারা প্রতীক চেয়েছি। নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এমপি হতে চাই না, জনগণের ভাগ্য বদলের জন্য এমপি হতে চাই।
একতারা আবহমান বাংলার সংস্কৃতির প্রতীক। মা, মাটি ও দেশের সঙ্গে একতারার মিল আছে। আমি নিজেও সংস্কৃতিকর্মী, অভিনেতা। একতারা প্রতীক পেলে খুশি হব।’
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম হাইকোর্টে রিট করে গতকাল মঙ্গলবার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
তাঁর করা পৃথক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মনোনয়নপত্র গ্রহণ এবং তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে (জেলা প্রশাসক) নির্দেশ দেন।
দলীয় সিদ্ধান্তে দুটি আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হিরো আলম।