বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমার ও দলের অবদান আছে: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমার অবদান আছে, আমার দলের অবদান আছে।’ আজ শনিবার সন্ধ্যায় রংপুরে তিন দিনের সফরে এসে নগরের দর্শনা এলাকায় পল্লী নিবাসে এইচ এম এরশাদের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জি এম কাদের এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমার দলের বেশির ভাগ মানুষ আন্দোলনে ছিল। আমরা জনগণের রাজনীতি করতে চাই। একটি ফ্যাসিবাদের পতনের পরে নব্য ফ্যাসিবাদ দেখতে চাই না, সেটিই আমাদের কাম্য।’
নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির কথা উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, জিনিসপত্রের দাম আবার আকাশচুম্বী। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, বেকারত্বও বাড়ছে। অনেকে মিল কারখানা চালাতে পারছেন না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানুষের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব—এই তিন বিষয় সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। এসবের সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা কিছুটা তো আছেই। কেউ চাইছে ইলেকশন তাড়াতাড়ি হোক, কেউ চাইছে ইলেকশন পরে হোক। আমরাও চাইছি যে ইলেকশন যৌক্তিক সময়ের পরে, সংস্কারের পরে হওয়া ভালো। এসব নিয়ে টানাপোড়েন তো আছে। সামনের দিনগুলো একটু অনিশ্চিত।’
জাতীয় পার্টিকে সংলাপে না ডাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘এটা আমার কাছে অদ্ভুত মনে হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের একটু আপত্তির জায়গা আছে। আমাদের দলটি মোটামুটি একটি পুরাতন দল। আমাদের দলের ইতিহাস আছে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে, সংস্কারের সঙ্গে আমরা জড়িত ছিলাম। দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছি। রাষ্ট্র পরিচালনায় আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। আমরা সব সময় চেয়েছি, এখনো চাইছি সরকার গঠন থেকে শুরু করে সরকারকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা দেব। যাতে করে সরকার সঠিক পথে চলতে পারে। কিন্তু হঠাৎ করে না ডাকার বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তির কারণ নাই। একটি বিষয়ে দোষারোপ করে শাস্তি হিসেবে দেখানো হচ্ছে, ব্যাপকভাবে প্রচারণা চলানো হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য কিছুটা হলেও বিব্রতকর।’
নিজের দলের কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একমাত্র দল, যারা কোনো সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে নেই। কোনো টেন্ডারবাজি, হল দখল, খাস দখল, বাড়িঘর দখল, অবৈধভাবে ব্যবসা–বাণিজ্যসহ বড় ধরনের লুটপাটের রেকর্ড আমাদের দলের নেই। আমরা সব দলের সঙ্গে সহমর্মিতা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। কিন্তু বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। হামলা–মামলার শিকার হয়েছি বিএনপির আমলে। আর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি এই আওয়ামী লীগের আমলে।’