ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহী বাবা–মেয়েসহ নিহত ৩
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন বাসটি পুড়িয়ে দিয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজন হলেন নগরকান্দা উপজেলার ধরমদী গ্রামের মাইনুদ্দিন শেখ (৩৫), তাঁর মেয়ে তাবাসসুম (১০) ও শ্যালক ভাঙ্গা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের মিরাজ মাতুব্বরের ছেলে সৌরভ মাতুব্বর(১৬)।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৈমুর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীরা ভাঙ্গা থেকে নগরকান্দা যাচ্ছিলেন। এ সময় খুলনা থেকে ঢাকাগামী বাসের চাপায় ঘটনাস্থলে দুজন এবং ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর একজনের মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার পর বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন এলাকাবাসী। এর ফলে বাসটি পুড়ে যায়। পরে ভাঙ্গা দমকল বাহিনীর একটি দল এসে আগুন নেভায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুরাবাদ বাজার বাসস্ট্যান্ডের আল্লার দান নামের খাবার হোটেলের মালিক এমরান হোসেন (৩৫) বলেন, স্টার এক্সপ্রেস নামের ওই বাসটি খুলনার দিকে থেকে ঢাকার দিকে দ্রুতগতিতে আসছিল। ওই মোটরসাইকেলটি মুনসুরাবাদ বাজারের লিংক সড়ক থেকে মহাসড়কে ওঠার সময় বাসটি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি ছিটকে গিয়ে দূরে পড়লে ওই তিনজন নিহত হন।
পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই যাত্রীবাহী বাসের সব যাত্রীকে মালামালসহ নিচে নামিয়ে দিয়ে প্রথমে বাসটি ভাঙচুর করেন এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেন। তবে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও বাসচালকের সহকারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বাসের আগুন নেভান।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক আবু জাফর বলেন, দুর্ঘটনা ও বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর শুনে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।