কুষ্টিয়ায় আগাম বার্তা দিয়েও ১৫ আগস্টের কর্মসূচি করতে পারেনি আওয়ামী লীগ

বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের এসব সদস্য ও স্বজন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন
ছবি: সংগৃহীত

আগাম বার্তা দিয়েও কুষ্টিয়ায় ১৫ আগস্ট উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি জেলা আওয়ামী লীগ। অন্য বছরের মতো জেলার কোথাও মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতেও শোনা যায়নি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও কোনো নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি।

গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দীন খান বলেছিলেন, তাঁরা শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জানার জন্য তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল আসকর প্রথম আলোকে বলেন, ‘৭৫–পরবর্তী সময়ে যা হয়েছিল, এখন সে সময় চলছে। আমার জানামতে দলীয়ভাবে কোথাও শোক দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়নি। বাড়িতে বা পাড়াতে কেউ কিছু করে থাকতে পারে।’

দলীয় কর্মীরা বলেন, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর স্থানীয় নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। সরকার শোক দিবসের ছুটি বাতিল করায় জেলা প্রশাসন থেকেও শোক দিবসের কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি। জেলা শহরে অন্তত পাঁচটি স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ভাস্কর্য রয়েছে। সেগুলো ৫ আগস্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে দেওয়ার আগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসব স্থানে ফুল দিতেন। করতেন নানা অনুষ্ঠান।

গতকাল বুধবার অবস্থান না জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সদর উদ্দীন বলেছিলেন, শোক দিবস পালনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ধ্বংস হয়ে যাওয়া কার্যালয়ে তালাও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনো কর্মসূচি পালনের অবস্থা নেই। তবে শোক দিবসে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে জেলা পরিষদের জায়গায় থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়া হবে। শীর্ষ নেতারা না থাকলেও সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।