চতুর্থ ধাপে সিলেট বিভাগে জয়ী সাত চেয়ারম্যানের দুজন বিএনপি নেতা
চতুর্থ ধাপে সিলেট বিভাগের তিন জেলার সাতটি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জের দুটি উপজেলাতেই বিএনপি নেতারা জয় পেয়েছেন। এর বাইরে সিলেট ও সুনামগঞ্জে জয়ী পাঁচ চেয়ারম্যানই আওয়ামী লীগের নেতা-সমর্থক। সাত বিজয়ীর চারজনই নতুন মুখ।
গতকাল বুধবার নির্বাচন শেষে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। ফলাফলে দেখা গেছে, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী। অন্যদিকে কানাইঘাট উপজেলায় প্রথমবারের মতো জয়ী হন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। এ দুটি উপজেলা হবিগঞ্জ-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত। এ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচিত সুমন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। তাঁর আসনের দুটি উপজেলাতেই চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন বিএনপির দুই নেতা।
চুনারুঘাটে বিজয়ী হন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান। তিনি এবারই প্রথম বিজয়ী হন। নির্বাচনের আগে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এ ছাড়া মাধবপুরে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হন এস এফ এ এম শাহজাহান। তিনি জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সহসভাপতি। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
সুনামগঞ্জ জেলার সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও মধ্যনগর উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এবারই প্রথম মধ্যনগরে নির্বাচন হয়। এ উপজেলায় বিজয়ী হন মো. আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া। তিনি পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আবদুল বাতেনের ভাই। স্থানীয়ভাবে রাজ্জাক আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. খায়রুল হুদা (চপল)। তিনি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁর বড় ভাই সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হন সাদাত মান্নান। তাঁর বাবা সুনামগঞ্জ-৩ (শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী। সাদাত মান্নান শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যের একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন।