কোম্পানীগঞ্জে শাহ আরেফিন টিলা কেটে পাথর উত্তোলনের দায়ে তরুণের কারাদণ্ড
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শাহ আরেফিন টিলা কেটে পাথর উত্তোলনের দায়ে এক তরুণকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ অভিযান চালান পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন। এ সময় টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত তিনটি ট্রলি ধ্বংস করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত তরুণের নাম পাভেল আহমদ (২৭)। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছনবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০২১ সাল থেকে শাহ আরেফিন টিলায় পাথর উত্তোলন বন্ধ ছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শাহ আরেফিন টিলা কেটে বুধবার বিকেলে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করে পরিবহন করার দায়ে পাভেল আহমদকে এক মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, টিলা কেটে পাথর উত্তোলনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ আদেশ দেন। ভবিষ্যতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক এবং কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তঘেঁষা শাহ আরেফিন টিলার অবস্থান সিলেট সদর উপজেলা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নে। টিলার লালচে, বাদামি ও আঠালো মাটি খুঁড়ে বড় বড় পাথরখণ্ড পাওয়া যায়। এসব পাথর উত্তোলন করতে যেখানে–সেখানে গর্ত আর খোঁড়াখুঁড়ি করায় টিলার অস্তিত্ব বিলীন হয়েছে অনেক আগেই। ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজে একের পর এক গর্ত ধসে শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটছিল।
শাহ আরেফিন টিলার ইজারাবহির্ভূত জায়গা থেকে প্রায় ২৫২ কোটি টাকার পাথর লুটের অভিযোগে ২০২১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক ইজারাদার মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল।