রোজায় মতলব উত্তরে হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখলে জরিমানার হুমকি বাজার সমিতির

রোজায় হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধে ছেংগারচর পৌর বাজার বণিক সমিতি ও সুজাতপুর বাজার বণিক সমিতির নোটিশ
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় রমজান মাসে হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে পৃথক দুটি নোটিশ দিয়েছে উপজেলার ছেংগারচর পৌর বাজার বণিক সমিতি ও সুজাতপুর বাজার বণিক সমিতি। এ আদেশ অমান্য করে দোকান-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা হলে সংশ্লিষ্ট দোকানি বা ব্যবসায়ীকে জরিমানা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে ওই নোটিশে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ছেংগারচর পৌর বাজার বণিক সমিতি ও সুজাতপুর বাজার বণিক সমিতির বোর্ডে ওই নোটিশ টাঙানো হয়। বাজার দুটির অবস্থান দুই কিলোমিটারের মধ্যে। দোকান-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার বিষয়ে দুই বাজার কমিটির নোটিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন ও দোকানিরদের অনেকে বলছেন, এ নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার বাজার সমিতির নেই। এটি বিধিবহির্ভূত। প্রশাসন বলছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

দুটি নোটিশের ভাষা প্রায় একই রকম। নোটিশ বলা হয়েছে, ছেংগারচর বাজার ও সুজাতপুর বাজারের সকল হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক এবং চায়ের দোকানিকে জানানো যাচ্ছে, পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে সকাল থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো। নির্দেশ অমান্য করলে ছেংগারচর বাজারের প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা করে এবং সুজাতপুর বাজারের ব্যবসায়ীকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা নির্ধারণ করা হলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছেংগারচর ও সুজাতপুর বাজারের অন্তত ছয়জন হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, বাজার সমিতির এ ধরনের নির্দেশ অবৈধ। এটি কেবল প্রশাসনের লোকেরাই দিতে পারেন। বাজার সমিতির এ নির্দেশ তাঁরা মানবেন কি না ভেবে দেখবেন। রমজানে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে সেটি দেখার ও জরিমানা করার এখতিয়ার প্রশাসনের। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে ছেংগারচর পৌর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান লস্কর ও সুজাতপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি রোকন উদ্দিন জানান, রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এ নোটিশ দিয়েছেন। দোকান খোলা না রাখা ও জরিমানা করার এখতিয়ার বাজার সমিতির আছে কি না, প্রশ্ন করা হলে উত্তর এড়িয়ে যান তাঁরা।

বিষয়টি নজরে আনা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মণি বলেন, বিষয়টি জেনেছেন। ওই দুই নোটিশের কপিও তাঁর হাতে এসেছে। এটি আইনবহির্ভূত কাজ। প্রশাসনের কাজ বাজার সমিতি করতে পারে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।