নিষিদ্ধ করা হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: প্রথম আলো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ১০০তম সিন্ডিকেট সভার শেষে বিষয়টি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির।

সহ-উপাচার্য বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৪৩-এর ‘ঘ’ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিষয়ে যেহেতু আগেই বলা হয়েছে, সেহেতু এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত দেবে না।

এর আগে ২০০৭ সালের ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রয়াত অধ্যাপক গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হওয়া সিন্ডিকেটে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক তৎপরতার জন্য সেশনজটসহ শিক্ষার মান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজে জড়িত থেকে তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার বিকাশ ঘটাবেন। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকমণ্ডলী তাঁদের পারস্পরিক যোগসূত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয় একটি শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের আসন দখল করবে। ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি হবে সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক, যা মোটেও রাজনৈতিক দল ও লেজুড়বৃত্তিক নয়।

ওই সিন্ডিকেটে আরও বলা হয়, পরিবেশ রক্ষা, উন্নত শিক্ষার সুষ্ঠু ধারা প্রবর্তন এবং যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা এবং রাখার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধূমপানমুক্ত এবং রাজনৈতিক অপচর্চা থেকে বিরত রাখা প্রয়োজন। ধ্বংসাত্মক রাজনীতি যেকোনো শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তরায়। তার প্রাথমিক কার্যকারিতার জন্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি অঙ্গীকারনামা রাখার ব্যাপারে অভিমত প্রকাশ করা হয়।