নেত্রকোনায় কৃষক আনোয়ারুল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে কৃষক আনোয়ারুল ইসলামকে (৩৮) প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় মো. রাজা মিয়াকে (৫০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার নেত্রকোনা জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এই রায় দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবুল হাসেম। রায় ঘোষণার সময় রাজা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত আনোয়ারুল ইসলাম উপজেলার বানিয়াজুড়া গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল করিমের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজা মিয়া একই গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বানিয়াজুড়া গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামকে ২০০৯ সালের ১৯ জুন বিকেল ৫টার দিকে একই গ্রামের রাজা মিয়া প্রকাশ্যে দিবালোকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত আনোয়ারুলের বাবা ফজলুল করিম বাদী হয়ে রাজা মিয়া, তাঁর ভাই ইসব মিয়া, একই গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন ও শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে মঙ্গলবার বিকেলে জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান রাজা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামি ইছব মিয়া, ফয়েজ উদ্দিন ও শফিকুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আবুল হাসেম। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নজরুল ইসলাম খান। আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর মক্কেল উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।