এইচএসসির ফল বাতিলের দাবিতে ফের ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও ফেল করা শিক্ষার্থীদের

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আজ দুপুরে বোঝানোর চেষ্টা করছেন ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহেরছবি: প্রথম আলো

এইচএসসির ফলাফল বাতিলের দাবিতে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়েছেন অকৃতকার্য একদল শিক্ষার্থী। আজ দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তারা প্রধান ফটকে এসে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে তাঁরা নগরের টাউন হল মোড়ে জড়ো হয়ে শিক্ষা বোর্ডের দিকে যান। ঘোষিত ফল বাতিল করে এসএসসির ফলাফল অনুযায়ী সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান তাঁরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি যৌক্তিক। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি বোর্ড কর্ণপাত করছে না। তারা বলছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু বলতে পারবে না। এতে আমরা হতাশ। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।’

মৌসুমী আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে বিষয়ে ভালো পরীক্ষা দিয়েছি, সেখানে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। ফলাফল সঠিক হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিং সঠিকভাবে করলে এত শিক্ষার্থী ফেল করত না। আমরা অটো পাস চাই না, এসএসসির সঙ্গে সব বিষয়ের সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল চাই।’

এর আগে গতকাল সোমবার শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর দেওয়া ওই স্মারকলিপিতে দুটি দাবির কথা উল্লেখ করেন তাঁরা। এগুলো হলো, ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যযুক্ত ফলাফল বাতিল ঘোষণা করতে হবে এবং দেশের সব বোর্ডের সঙ্গে সমভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং নিয়ে আলোচনা করে এসএসসির ফলাফল থেকে আবার সব বিষয়ের ফলাফলের তালিকা তৈরি করতে হবে।

গত রোববার দুপুর ১২টা থেকে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সেদিন শিক্ষা বোর্ডের অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা রাত ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে বোর্ড ত্যাগ করে বাসায় ফেরেন। শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে সেদিন স্মারকলিপি দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আজ বোঝাতে গিয়ে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের বলেন, ‘দাবিগুলো জেলা প্রশাসক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। আমরাও জানিয়েছি। ওপর থেকে সিদ্ধান্ত না এলে এখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুযোগ নেই।’