জুড়ীতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, কলেজে ভাঙচুর
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় রিয়াজ উদ্দিন নামের এক কলেজশিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া তাঁর কলেজে ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ফুলতলা ইউনিয়নের শাহ নিমাত্রা সাগরনাল-ফুলতলা ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। পরে জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে কলেজের কিছু শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন, খণ্ডকালীন এক শিক্ষকের সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর অনৈতিক সম্পর্ক আছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানান তাঁরা
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকালে শিক্ষকেরা একটি সভা করেন। এতে স্থানীয় ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল আলীম উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ও বহিরাগত কিছু লোক সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা ওই শিক্ষককে সবার সামনে ক্ষমা চাইতে বলেন। সেখান থেকে ফিরে কলেজটির প্রবেশফটক বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আরেক শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে ফটক বন্ধ দেখেন। দরজাটি খুলে দিতে শিক্ষার্থীদের বলেন। এ সময় এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীসহ বহিরাগত লোকজন ওই শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে শিক্ষার্থী ও বহিরাগত লোকজন কলেজে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর চালান। এরপর আহত শিক্ষককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. জহির উদ্দিন গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা মেনে নিয়েছিলাম। এরপরও শিক্ষার্থী ও বহিরাগত লোকজন মিটিংয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করেন। এরপর কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে। কলেজের সভাপতি ইউএনও। তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলীম ফোন ধরেননি।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।