খুলনায় সাড়ে ৬ বছর আগের নাশকতা মামলায় বিএনপির ৬৪ নেতা-কর্মী খালাস
নাশকতা মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম (তুহিন), সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলামসহ ৬৪ নেতা-কর্মী খালাস পেয়েছেন। আজ সোমবার খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এবং বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জুয়েল রানা এ রায় প্রদান করেন।
খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. ছায়েদুল হক বলেন, নাশকতার ওই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জন নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছিল। পরে অভিযোগপত্রে ৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আজ বিচারক কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ ছাড়াই রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, নগরের জোড়াগেট সিঅ্যান্ডবি কলোনির মাঠ থেকে সরকার উচ্ছেদ, বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র ধ্বংসসহ শহরে নাশকতা করার উদ্দেশ্যে বিএনপি এবং জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রড, বাঁশ ও ইটের টুকরো নিয়ে খুলনা বেতারকেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন। ওই দিন রাত পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছামাত্র বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা রড, বাঁশ ও ইটের টুকরো রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রড, বাঁশ এবং ইটের টুকরো জব্দ করে থানায় আনে।
ওই দিন রাতেই সোনাডাঙ্গা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রহিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১৫০ জনকে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার এসআই পল্লব কুমার সরকার ৭০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারকাজ চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ছয় আসামির মৃত্যু হয়।
মামলায় খালাস পাওয়া সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ২০১৮ সালে খুলনাসহ সারা দেশে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলমান ছিল। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁরা একটি মিছিল নিয়ে শিববাড়ি মোড় হয়ে শেখপাড়ার দিকে গিয়েছিলেন। সরকারপক্ষ আন্দোলন দমন করার জন্য বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করে বিএনপিদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। এটি পুলিশের বানানো একটি মিথ্যা মামলা। আজকে এ রায়ের মধ্য দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।