ভালুকায় একই রশিতে ঝুলছিল মা–মেয়ের লাশ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় মা-মেয়ে ও এক মাদ্রাসাছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক স্থান থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা-পুলিশ ।
মারা যাওয়া তিনজন হলেন মাগুরা জেলার বাহারবাগ গ্রামের জাহিদ হাসানের স্ত্রী সিনথিয়া আকরাম (২৭) ও তাঁদের সাড়ে তিন বছর বয়সের মেয়ে আয়েশা আক্তার এবং
উপজেলার ডাকাতিয়া বিন্নরীপাড়ার আনোয়ার খানের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (১০)। সে সখীপুর উপজেলার আড়াইপাড়া এলাকায় একটি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামিরদিয়া দক্ষিণপাড়ার বদরুল হকের বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পিএ নিটওয়্যার লিমিটেড নামের একটি কারখানায় সুপারভাইজার পদে চাকরি করতেন সিনথিয়া। মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময়ও ঘরের দরজা না খোলায় স্থানীয় এক ব্যক্তি ৯৯৯–এ ফোন করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক পাখা লাগানোর রডে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।
ভালুকা মডেল থানার পুলিশ জানিয়েছে, সিনথিয়ার ছোট বোন রোকসানা তাঁদের জানিয়েছেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ নিয়েই তাঁর বোন আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, উপজেলার ডাকাতিয়া বিন্নরীপাড়ার আনোয়ার খানের বড় ছেলে হুজাইফার সঙ্গে ছোট ছেলে আবদুল্লাহর মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে সকালে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খোঁজ পেয়ে পরিবারের লোকজন ঝুলন্ত অবস্থা থেকে আবদুল্লাহকে নামিয়ে ফেলে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) কামাল হোসেন জানান, মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।