খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম (মনা), সদস্যসচিব শফিকুল আলমসহ (তুহিন) ৪৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা ও অস্ত্র আইনে মামলা করেছে পুলিশ। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত রোববার রাতে নগরের সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অনুপ কুমার ঘোষ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা অন্য চারজন হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সহসভাপতি নাজমুল হোসেন, যুবদল কর্মী ইব্রাহিম শেখ ও মো. রাসেল। মামলাটিকে মিথ্যা দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত রোববার বেলা ২টা ১৫ মিনিটে নিউমার্কেটের পাশে গণপূর্ত অধিদপ্তরের স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে থেকে ইব্রাহিম, নাজমুল ও রাসেলকে অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে অন্য তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা বাংলাদেশ বেতারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে এজাহারে দাবি করা হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় ও খুলনা নগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, ২৬ নভেম্বর সোনাডাঙ্গা থানায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে বিশেষ ক্ষমতা ও অস্ত্র আইনে গায়েবি মামলা করে সরকার তাদের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিয়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার যে কতটা দিশেহারা, এ মামলাই তার প্রমাণ। অবিলম্বে শীর্ষ নেতাদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের মামলা না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবু হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা কাজী মো. রাশেদ, স ম আ রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, নুরুল হাসান, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান প্রমুখ। খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর ও খান জাহান আলী থানা বিএনপির পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হরষিৎ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক পদার্থ হেফাজতে রেখে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অন্তর্ঘাতী কাজ করার ষড়যন্ত্র ও ওই কাজে সহায়তার অপরাধে মামলাটি হয়েছে। একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, গানপাউডার, পটাশ ও বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। মামলায় এজাহারে নাম থাকা তিনজনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।