জুড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে ধরে নিয়ে পদত্যাগ করালেন শিক্ষার্থীরা
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কিশোর রায় চৌধুরী মনিকে সড়কে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে নিয়ে পদত্যাগ করিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীবিরোধী মিছিলে অংশ নেওয়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদের পদত্যাগের দাবিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার দিকে উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ বাজারে হাঁটাহাঁটি করছিলেন কিশোর রায় চৌধুরী। একপর্যায়ে একদল শিক্ষার্থী তাঁকে ঘিরে ফেলেন। তাঁরা তাঁকে ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে ইউএনও বাবলু সূত্রধর, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ করেন।
কিশোর রায় চৌধুরীর পদত্যাগের পর রাতে উপজেলা সদরে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা ভাইস চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে ‘হই হই রই রই, জুয়েল চোরা গেল কই’, ‘মনি গেছে যে পথে, জুয়েল যাবে সেই পথে’ বলে স্লোগান দেন।
সহকারী কমিশনার সানজিদা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে পদত্যাগ করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সমন্বয়ক ওসমান গণি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কিশোর রায় চৌধুরী, জুয়েল আহমদসহ আরও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি শিক্ষার্থীবিরোধী মিছিলে ছিলেন। কিশোর রায় চৌধুরীকে রাস্তায় পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বুঝিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে যান। এরপর তিনি পদত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কিশোর রায় চৌধুরীর মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।