শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে এবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
আশ্বাস দিয়েও পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা সংস্কার না করায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাম্পাসে ‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, শাবিপ্রবি’–এর ব্যানারে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘পোষ্য কোটা বাতিল কর, করতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
মিছিলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা–৭১ ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় কোটা সংস্কারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন তাঁরা। এ সময়ের মধ্যে কোটা সংস্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নিলে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার বলেন, ‘বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা যেই আন্দোলন শুরু করেছিলাম, সেই বৈষম্য এখনো শেষ হয়নি। জুলাই আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই ছিল মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা। কিন্তু সেই মেধার অবজ্ঞা করে এখনো কোটাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’ আজাদ শিকদার আরও বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য শুধু কোটা রাখা যেতে পারে, কিন্তু পোষ্য কোটায় যারা ভর্তি হয়, তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত পরিবার থেকে আসে। এটা মারাত্মক বৈষম্য। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোটা বাতিল না করা হয়, তাহলে রেজিস্ট্রার ভবনে আমরা তালা মেরে দেব।’
শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘যেই কোটার জন্য হাজারো শিক্ষার্থীকে জীবন দিতে হয়েছে, আজ সেই কোটা এখনো বহাল রাখা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। যদি কৌশলে পোষ্য কোটা বহাল রাখতে চান, তাহলে এটা হবে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি। তাই দ্রুতই কোটা সংস্কার করুন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মো. সাজেদুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে দাবি জানিয়েছে। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করা হবে।’
এর আগেও ভর্তিতে কোটা সংস্কারের জন্য গত ১০ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারি মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আশ্বাস দিলেও কোটা এখনো বহাল রেখেছে কর্তৃপক্ষ।