বড়পুকুরিয়ার তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু, লোডশেডিং কমার আশা
এক মাস ছয় দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এ ইউনিট থেকে ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট থেকে তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত ৯টার পর কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট সংস্কার কাজের জন্য এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। তৃতীয় ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত আছে ২ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন। ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ হয়ে আছে। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনোই চালানো হয়নি।