বুড়িমারী স্থলবন্দর স্টেশন থেকে সরাসরি ঢাকাগামী ট্রেন চলাচলের দাবিতে অবরোধ

বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসান্দারাছবি: প্রথম আলো

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলস্টেশন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাতীবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরাসরি বুড়িমারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেন চলাচল বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির ব্যানারে এই কর্মসূচিতে স্থানীয় লোকজন অংশ নেন।

অবরোধের সময় বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটি আটকে দেওয়া হয়। এরপর বিকেল চারটার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে রেল ও মহাসড়কে দুই পাশে চলাচলকারী যাত্রী ও শত শত ট্রাক, বাস আটকা পড়ে।

আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চলতি বছরের ১২ মার্চ থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলস্টেশন থেকে বুড়িমারী-ঢাকা রুটে ফিতা কেটে ট্রেনটির উদ্বোধন করা হলেও পরদিন থেকে এটি লালমনিরহাট থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত চলছে। আর লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারীতে যায় একটি শাটল ট্রেন। তবে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি বুড়িমারী স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার দাবি ছিল এলাকাবাসীর।

কর্মসূচি পালনকারীরা বলেন, বুড়িমারী নামে নামকরণ হলেও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় না। পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধার মানুষের দাবি, অতি দ্রুত বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখা হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন স্থানীয় শওকত হোসেন আহমেদ, সাহেদুজ্জামান, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান, ফারুক হোসেন ও হাতীবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, তাওহীদ প্রমুখ।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুলাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে বলেন, ‘বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’