নাটোরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার মামলায় এসপি ফজলুল হকের জামিন নামঞ্জুর

বরখাস্ত পুলিশ সুপার ফজলুল হককে (মাস্ক পরিহিত) কারাগারে নেওয়ার পথে আদালতের বারান্দায় ছবি তুললে তিনি সাংবাদিকদের মারধর করেন। ১১ মার্চ দুপুরেছবি: সংগৃহীত

নাটোরে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার মামলায় বরখাস্ত পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম ফজলুল হকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-আমিন আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে করা মামলায় বরখাস্ত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হকের জামিন আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সোহেল রানা। জামিনের বিরোধিতা করেন জেলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রুহুল আমীন তালুকদারসহ অন্তত ১০ আইনজীবী।

সরকারি কৌঁসুলি আদালতকে বলেন, আসামি একজন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসী কায়দায় সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিয়েছেন এবং কিল–ঘুষি মেরে যন্ত্রপাতি ভেঙেছেন ও সাংবাদিকদের আহত করেছেন। এই আসামি জামিনে মুক্তি পেলে নাটোরের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। শুনানি শেষে আদালত ফজলুল হকের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

ফজলুল হক ১১ মার্চ এক মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে সাংবাদিকেরা তাঁর ছবি তুলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক কাউছার আহমেদ সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় আজ তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। ফজলুল হক বরখাস্ত অবস্থায় বর্তমানে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত আছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল রানা বলেন, আসামিপক্ষ আবারও জামিনের আবেদন করবেন। আসামি ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করেন তিনি।

নাটোর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রুহুল আমীন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পাশাপাশি বাদীর বক্তব্য শোনেন এবং ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখেন। সবকিছু বিবেচনা করে তিনি আসামি ফজলুল হকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই আদেশে সন্তুষ্ট হয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন