কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বাড়ছে পাটুরিয়া ঘাটে

যাত্রীর চাপ বাড়ছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়। আজ শুক্রবার সকালে পাটুরিয়ার ৪ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায়ছবি: আবদুল মোমিন

ঈদের ছুটি কাটিয়ে মানুষ আবার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁরা ফেরি ও লঞ্চে করে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথ পারাপার হয়ে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় যাচ্ছেন। এতে পাটুরিয়া ঘাটে মানুষের চাপ বাড়ছে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে মানুষ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসছেন। এরপর লঞ্চে পদ্মা নদী পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দূরপাল্লার যানবাহনে করে যাত্রীরা ফেরিতে নদী পারাপার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন। এতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় কর্মস্থলগামী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে কাজ করছেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, ঈদ শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ফিরছেন। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।

আজ সকাল ৯টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের নিয়ে এমভি মোস্তফা এবং সোয়া ৯টার দিকে এমভি অনিকা নামের দুটি লঞ্চ পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে আসে। এ সময় এ লঞ্চ দুটিতে গাদাগাদি করে যাত্রীদের নদী পারাপার হতে দেখা যায়। লঞ্চ থেকে নামার পর মালামাল নিয়ে যাত্রীরা বাস টার্মিনালের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। পরে বাসে উঠে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছেন তাঁরা।

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ফরিদপুর সদর উপজেলার আবুল কালাম। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কর্মস্থলে যেতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আজ সকাল ৯টায় এমভি মোস্তফা নামের লঞ্চে করে নদী পারাপার হয়ে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষ। কাল (শনিবার) থেকে অফিস খোলা। তাই কাজে যোগ দিতে আজ সকাল সকাল কর্মস্থল এলাকার বাসায় ফিরছি।’

পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার মনির খান বলেন, ঈদ শেষে লঞ্চে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে প্রতিটি লঞ্চে নির্ধারিতসংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে মানুষ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসছেন। এরপর লঞ্চে পদ্মা নদী পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীর
ছবি: আবদুল মোমিন

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়ার ৪ নম্বর ঘাটে ভেড়ে কে-টাইপ ফেরি ফরিদপুর। ফেরিটিতে দূরপাল্লার বাসসহ মোটরসাইকেলের পাশাপাশি যাত্রীরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থেকে নদী পার হন।
এ ফেরির যাত্রী আলতাফ হোসেন বলেন, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ফরিদপুরে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ হয়ে আসায় এখন তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাম হোসেন বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হয়ে আসায় আজ সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা ফেরিতে নদী পারাপার হচ্ছেন।