গাজীপুরে আনসার একাডেমিতে হামলা, গুলিতে নিহত দুই
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে আজ সোমবার আন্দোলনকারীরা হামলা চালিয়ে দুটি প্রধান ফটক ও ভেতরে ভাঙচুর করেন। এ সময় আনাসার সদস্যরা গুলি ছোড়ে। গুলিতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।
আহত ব্যক্তিদের সফিপুর মডার্ন হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল ও তানহা কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি ও বাসন থানায় হামলা চালিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে এলিম হোসেন (৩০), অপর এক যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
কয়েকজন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে গত রোববার দুপুরে হামলা চালালে সেখান থেকে ছররা গুলি চালানো হয়। এতে ব্যাপক লোক আহত হন। সেই ঘটনার জেরে আজ সোমবার বিকালে আবার আন্দোলনকারীরা আনসার ভিডিপি একাডেমিতে হামলা চালান। হামলা চালিয়ে আনসার একাডেমির ভেতরে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন। পরে আন্দোলনকারীরা আনসার একাডেমির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিংসংযোগ করতে গেলে আনসার নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। গুলিতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক। পরে আশপাশের লোকজন হতাহতদের উদ্ধার করে সফিপুর মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আনসার সদস্যরা মাইক দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ক্ষমা চেয়ে সবাইকে একাডেমির সামনে থেকে চলে যেতে অনুরোধ করেন।
সফিপুর মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসক সাদ্দাম হোসেন বলেন, হাসপাতালে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। এ ছাড়া আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল সরকারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। গাজীপুর শহরে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এরশাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব খান বলেন, থানায় পুলিশ সদস্যরা না থাকলেও তাঁরা কালিয়াকৈরে দায়িত্ব পালন করছেন।