সিলেট সিটির ভোটের দিন বাপ-দাদার ভিটায় মেয়র আরিফুল হক
সিলেট সিটি করপোরেশনের টানা দুবারের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাঁর পৈতৃক বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রামে। দলীয় সিদ্ধান্তে এবার ভোট বর্জন করায় ভোটের দিন সিলেটেই থাকেননি তিনি। আজ বুধবার সারা দিন তিনি বাপ-দাদার ভিটেবাড়িতে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন।
বিকেলে কমলগঞ্জের শমসেরনগর কোরবানির পশুর হাটে যান তিনি। হাট থেকে কোরবানির জন্য ২০টি খাসি কিনেছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে গ্রামের বাড়ি উবাহাটা থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ২০ মে নাগরিক সভা করে সিলেট সিটি নির্বাচনে এবার প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সিলেট সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণের নির্ধারিত দিন ছিল। নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর দল অংশ নেয়নি। আজ বেলা ১১টার দিকে দাদার বাড়ি কমলগঞ্জের মুন্সীবাজার ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রামে চলে আসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী শ্যামা হকও উপস্থিত ছিলেন। সারা দিন বাড়িতে আত্মীয়স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সময় কাটান তিনি। একপর্যায়ে বেলা তিনটার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর কোরবানির পশুর হাট দেখতে যান তিনি। সেখান থেকে ২০টি খাসি কেনেন।
আরিফুল হক চৌধুরীর চাচা মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেছেন, আরিফুল হক চৌধুরী মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক অনুষ্ঠান থাকলেও আসেন। এবার প্রায় এক বছর পর বাড়িতে এসেছেন। পারিবারিকভাবে তাঁর দাওয়াত ছিল। একপর্যায়ে কোরবানির পশুর হাটে যেতে চাইলে তাঁকে নিয়ে শমসেরনগর পশুর হাটে যান। হাট থেকে ২০টি খাসি কিনেছেন। গরু পছন্দ না হওয়ায় কেনা হয়নি। বিকেল পাঁচটার দিকে উবাহাটা থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কেটেছে।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বছরখানেক পরে বাড়িতে এসেছি। অনেক আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা হলো। আম কেটে খেলাম। শমসেরনগর থেকে ছাগল কিনেছি। ভালোই সময় কেটেছে।’