মেরিন ড্রাইভে আলট্রা ম্যারাথন, সামুদ্রিক পরিবেশ সংরক্ষণের তাগিদ

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে আলট্রা ম্যারাথন। আজ সকালেছবি: সংগৃহীত

‘সমুদ্র বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় ২০০ কিলোমিটারের আলট্রা ম্যারাথন। আজ শনিবার ম্যারাথনের প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই ইভেন্টের আয়োজন করে।

আয়োজকদের প্রধান সমন্বয়কারী সুফি মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, পরিচ্ছন্ন উপকূলের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের সঙ্গে দায়িত্বশীল পর্যটনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই এই ইভেন্টের উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ২০০ কিলোমিটার দূরত্বের আলট্রা ম্যারাথন আয়োজিত হলো। পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্রের তলদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা ম্যারাথন ভূমিকা রাখবে।

দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ জন দৌড়বিদ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের সহায়তার জন্য ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখা হয়। অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা ৫০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১০০ মাইল ও ২০০ কিলোমিটার—এই ৪ ক্যাটাগরিতে দৌড়ে অংশ নেন। ২০০ কিলোমিটার দৌড়ের শেষবিন্দুতে প্রথমে পা রাখেন এ বি এম সিদ্দিকুল আবেদীন।

আলট্রা ম্যারাথন হচ্ছে একধরনের দীর্ঘ দূরত্বের দৌড়। যেখানে গতানুগতিক ম্যারাথন দৌড়ের দূরত্ব ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের দৌড় আয়োজন করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে ছোট দূরত্বের আলট্রা ম্যারাথন হচ্ছে ৫০ কিলোমিটার।

ম্যারাথনের কমিউনিটি পার্টনার ছিল দেশের অন্যতম পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ এবং সাইক্লিং গ্রুপ ‘হেমন্ত রাইডার্স’। চ্যারিটি পার্টনার হিসেবে ছিল পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার চাম্পাঝিরিপাড়ার ‘পাওমাং শিশুসদন’ এবং মানবিক মানুষের সংগঠন ‘হাফ ম্যাড হিউম্যান’। সার্বিক সহযোগিতা দেয় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, আরটিএমআই ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।