সরিষাবাড়ীতে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ

নারী নির্যাতনপ্রতীকী ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশী মো. হুমায়ুন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী।

আহত গৃহবধূর নাম লতা বেগম (৩০)। তিনি উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

গৃহবধূর স্বামী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলের সাইকেল ভেঙে দেয় হুমায়ুনের ছেলে। বিষয়টি তাঁদের জানাতে গেলে উল্টো তাঁরা হামলা করার চেষ্টা করলে আমরা প্রথম দিন চলে আসি। এ ঘটনার জেরে গতকাল একা পেয়ে আমার স্ত্রীকে তাঁরা মারধর করেছেন এবং কান কেটে দিয়েছেন।’

আহত গৃহবধূর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার লতা বেগমের ছেলের সাইকেল ভেঙে দেয় প্রতিবেশী হুমায়ুনের ছেলে। ভাঙা সাইকেলটি দেখাতে হুমায়ুনের বাড়িতে যান লতা বেগম। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই ঝগড়ার জেরে গতকাল বিকেলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য হুমায়ুনের বাড়িতে লতা বেগমকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আবারও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে লতা বেগমকে মারধর করা হয় এবং তাঁর বাঁ কান ছিঁড়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে হুমায়ুনের স্ত্রী হাফিজা বেগম বলেন, ‘ঘটনাটি মীমাংসার জন্য তাঁকে (লতাকে) বাড়িতে ডেকে আনা হয়। এ সময় আমার বোনের সঙ্গে ঝগড়া বাঁধে। এই সময় হাত লেগে লতা বেগমের কান ফেটে রক্ত বের হয়। তবে ইচ্ছা করে এ ঘটনা ঘটেনি। হঠাৎ কানে হাত লেগে গেছে।’

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, এক নারীকে মারধরের ঘটনায় সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।