‘বড়দিনের উৎসবে কেউ ষড়যন্ত্র করতে এলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো ষড়যন্ত্র সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে মোকাবিলা করা হবে। ৫ আগস্টের পর দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে স্বার্থান্বেষী মহল দেশ-বিদেশ থেকে উসকানিমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই সম্প্রীতি নিয়ে কোনো দেশ বা মহলকে খেলতে দেওয়া হবে না। বড়দিনের উৎসবে কেউ ষড়যন্ত্র করতে এলে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্যাপনে প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা নিয়ে আজ সোমবার সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ধোবাউড়া ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং মিশন ও গির্জাপ্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ কথা বলেন।
আজ দুপুরে উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে মতবিনিময় করেন সৈয়দ এমরান সালেহ। বিকেলে ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ভালুকাপাড়া সেন্টতেরেজাস মিশনে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় তিনি তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বড়দিনের কেক কাটেন, দুস্থ গারো নারী-পুরুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন এবং বড়দিন উদ্যাপনে প্রস্তুতি প্রত্যক্ষ করেন।
এমরান সালেহ বলেন, শহীদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সর্বজনীন মতবাদ। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে ধর্ম-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সবার সম–অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন শহীদ জিয়া। তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখায় ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ নীতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি সবাইকে ভয়ভীতি-শঙ্কাহীনভাবে বড়দিনের উৎসব মহাসমারোহে পালন করার আহ্বান জানান। তিনি সরকার, প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি বড়দিনের উৎসব পালনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় গারো সম্প্রদায়ের নেতা এডুয়ার্ড নাফাক, এক্সিবিশন বনোয়ারী, অসীম সাংমা, অনুপমা চিরান, মামেন রেংসা, বিএনপি নেতা অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, ফরহাদ রাব্বানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।