ফ্যাসিস্টমুক্ত নতুন বাংলাদেশে সব মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা: সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘পুরো পৃথিবীতে মজলুম অনেক মুসলিম, আমাদের ভাইবোনেরা আজকে আমাদের মতো করে ঈদ করতে পারছেন না। আমাদের ফিলিস্তিনের মুসলিম ভাইয়েরা, ভারতে উগ্র সাম্প্রদায়িক কিছু হিন্দুত্ববাদী মানুষ রয়েছেন, যেখানে আমাদের মুসলিম ভাইয়েরাও মজলুম। আজকে আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে মুসলিম ভাইয়েরা মজলুম হিসেবে রয়েছেন। মিয়ানমারের অনেক মুসলিম মজলুম ভাইয়েরা আমাদের দেশে রয়েছেন। আমরা পৃথিবীর সব মজলুম মুসলিম ভাইদের জন্য দোয়া করব।’
আজ সোমবার সকাল নয়টায় পঞ্চগড় জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের সামনে সারজিস আলম এ কথাগুলো বলেন। নামাজ শেষে সারজিস আলম মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেন। এ সময় মুসল্লিদের অনেকে তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে সেলফি তোলেন।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘স্বৈরাচারবিরোধী যে আমাদের আন্দোলন, এই আন্দোলন–পরবর্তী এই নতুন বাংলাদেশ, ফ্যাসিস্টমুক্ত নতুন বাংলাদেশে সব মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক। আজকের এই ঈদের দিনে, এই খুশির দিনে নতুন বাংলাদেশের এই যে নতুন ঈদ, এই দিনে পুরো পৃথিবীর মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে একটি কথাই বলতে চাই, রমজানের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন করা। অর্থাৎ আল্লাহর ভয়ে সব নেতিবাচক কাজ থেকে দূরে থাকা। আমরা যেন এই রমজানকে বাকি ১১ মাস ধারণ করতে পারি। আল্লাহর ভয়ে, সৃষ্টিকর্তার ভয়ে সব ধরনের নেতিবাচক কাজ থেকে যেন আমরা দূরে থাকি। আল্লাহর প্রতি আমাদের বান্দার হক রয়েছে এবং বান্দার প্রতি বান্দার হক রয়েছে, এই হক যেন আমরা আমাদের জায়গা থেকে আদায় করি।’
দেশের কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর সব মানুষের জন্য দোয়া করব, যেন আমরা একসঙ্গে আমাদের মনের সংকীর্ণতা, আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো পাশ কাটিয়ে দেশের জন্য মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি এবং এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে এমন কিছু করে যেতে পারি, যার জন্য আমরা ইহকাল ও পরকাল উভয়কালে শান্তিতে বসবাস করতে পারি, এই কামনা করছি।’
পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমামতি করেন পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মো. ময়নুল ইসলাম। এ সময় পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।