চরফ্যাশনে জলদস্যুদের হামলায় দুই জেলের মৃত্যু
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে মেঘনা নদীতে জলদস্যুদের হামলায় দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
দুজন হলেন মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. রাব্বি (১৬) ও রাব্বির চাচা মিজানুর রহমান মাঝি (৫৪)। তাঁদের বাড়ি ইউনিয়নের খেজুরগাছিয়া বন্যা-জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর।
স্থানীয় একাধিক জেলের দাবি, জাল পাতা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইউনিয়নের আটকপাটের জলদস্যুরা পিটিয়ে দুজনকে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, জলদস্যুরা হামলা করলে জেলেরা ভয়ে পানিতে লাফ দেন। তখন ঢেউয়ের তোড়ে দুই জেলের মৃত্যু হয়। দুজনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর বিষয়ে সবকিছু জানা যাবে।
চাচা-ভাতিজার স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গত সোমবার আটকপাটের জেলেদের সঙ্গে খেজুরগাছিয়ার জেলে মিজানুর রহমান মাঝির জাল পাতা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে আটকপাটের জলদস্যুরা অস্ত্র হাতে খেজুরগাছিয়ার মিজানুর রহমান মাঝি ও তাঁর মাল্লাদের খুঁজতে থাকে। কিন্তু খেজুরগাছিয়া এলাকায় মিজানুর রহমান মাঝি নামে তিনজন আছেন। গতকাল শনিবার রাতে জলদস্যুরা দুই মিজানুর রহমানের নৌকায় হামলা চালিয়ে ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় দুজনের মৃত্যু হয়।
চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জলদস্যুরা হামলা করলে ভাতিজা রাব্বি লাফিয়ে পড়ে পানিতে। তাকে বাঁচাতে লাফিয়ে পড়েন চাচা মিজান। দুজনেরই মৃত্যু হয়। দুজনের লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে মামলা হবে।