সুনামগঞ্জে বিএনপির ১৬টি কমিটি বাতিলের দাবি

সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান। আজ শনিবার দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনেছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জে বিএনপির ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি উঠেছে। ‘বিএনপির ত্যাগী নির্যাতিত তৃণমূল নেতৃবৃন্দ’–এর ব্যানারে আজ শনিবার দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বোকা বানিয়ে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে গত বছরের ৪ নভেম্বর ৩২ সদস্যের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে এই কমিটি বাতিল ও পুনর্গঠনের দাবি ওঠে। এরপর সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গৌছ সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দেন এবং সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের নিয়ে শাখা কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন। কিন্তু এটি হয়নি। কমিটিগুলো হয়েছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলার ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১ জন আহ্বায়ক, ৪ জন করে যুগ্ম আহ্বায়কসহ প্রতিটি কমিটিতে ২১ জন সদস্য আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এসব কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সদর উপজেলা কমিটি গঠনে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। সুনামগঞ্জ পৌর কমিটির ২১ সদস্যের ৬ জনই জেলা বিএনপির সদস্য। তাঁদের মধ্যে ১১ জন একই এলাকার বাসিন্দা। কেউ কেউ বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দলে বিভক্তি আছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ শেখ হাসিনামুক্ত হলেও সুনামগঞ্জ বিএনপির সিন্ডিকেটমুক্ত হয়নি। এতে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম খালিদ, সাবেক নেতা আবদুল গফফার, আবদুল করিম, আবদুল মজিদ, মইনুল হক, নজরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আবদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপিতে অনেক ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা আছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনায় কমিটিগুলো হয়েছে ২১ সদস্যের। এ কারণে অনেক ত্যাগী নেতা কমিটিতে আসতে পারেননি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে নিশ্চয়ই তাঁরা মূল্যায়িত হবেন।