গাজীপুরে বাস-আটোরিকশা সংঘর্ষে দম্পতিসহ নিহত ৩

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষের ভিড়। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী উড়ালসড়কের পশ্চিম পাশেছবি: প্রথম আলো

গাজীপুর নগরীর কোনাবাড়ী উড়ালসড়কের পশ্চিম পাশে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক দম্পতিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী উড়ালসড়কের পশ্চিম পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ওই দম্পতির দুই সন্তানসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ঘোড়িয়া এলাকার আনসার আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন। অপরজন হলেন অটোরিকশাচালক সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানার চন্ডিপুর গ্রামের হিরা সরকারের ছেলে জুয়েল সরকার (২৫)। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নাজমুল-ফরিদা দম্পতির ছয় বছরের মেয়ে ও এক বছরের ছেলে রয়েছে। তাদের নাম জানা যায়নি। এ ছাড়া কোনাবাড়ী এলাকার এনামুল ইসলাম (৩০), মানিকগঞ্জ জেলার ধামরাইয়ের অজিত চরণ (৪৫) ও তাঁর বাবা গঙ্গাচরণ (৮০) আহত হয়েছেন।

স্থানীয় লোকজনের বরাতে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি অটোরিকশা উল্টো পথে আসছিল। এমন সময় তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রার দিকে আসছিল। কোনাবাড়ী দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। হতাহত সবাই অটোরিকশায় ছিলেন।

নাজমুল-ফরিদা দম্পতির স্বজন শরিফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর তাঁদের টাঙ্গাইল মেডিকেলে আনার সময় পথে মারা যান। তাঁদের দুই সন্তানকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। শরিফুল বলেন, নাজমুল-ফরিদা দুই সন্তানকে নিয়ে সকালে টাঙ্গাইলে বাড়িতে আসার জন্য অটোরিকশায় করে কোনাবাড়ী দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, ‘রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বেপরোয়া গতির তাকওয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। লাশটি অটোরিকশাচালকের। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজনের বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

ওই দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের লাশ টাঙ্গাইলের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। লাশ দুটি বহন করা অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. সুমন বলেন, ‘কোনাবাড়ী হাসপাতালের সামনে থেকে পাবলিক আমাকে ডেকে নিয়ে গাড়িতে চারজনকে তুলে দেয়। এর মধ্যে স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে তাঁদের এক মেয়ে ও ছেলেসন্তানকে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঠিকানা খুঁজে ওই স্বামী-স্ত্রীর লাশ বাড়িতে দিয়ে আসছি।’