রাজশাহী নগরের সবচেয়ে ব্যস্ততম আরডিএ মার্কেটে আগুন

আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন ফায়ার কর্মীরা। সোমবার রাতে রাজশাহী নগরের আরডিএ মার্কেটেছবি: শহীদুল ইসলাম

রাজশাহীতে নগরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা সাহেব বাজার। এর প্রাণকেন্দ্রেই অবস্থিত আরডিএ মার্কেটে সোমবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। প্রায় এক ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আবু সামা জানান, নগরের এই মার্কেটের প্রবেশপথের পাশে এক নম্বর গদিঘরের দোতলার ওপরের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে দুটি রান্নার চুলা ছিল।

আগুন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানে ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাতে
ছবি: প্রথম আলো

একটি খড়ির চুলা আরেকটি গ্যাসের চুলা। তাঁরা ধারণা করছেন গ্যাসের চুলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত। গদিঘরের দোতলায় মালামাল রাখার গুদাম রয়েছে। গুদামের সব মালামাল পুড়ে গেছে। তাঁরা সন্ধ্যা সাতটা ৩৫ মিনিটে খবর পেয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে সামনের ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত সাড়ে আটটার মধ্যে তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

মার্কেটে প্রায় আড়াই হাজার দোকান রয়েছে। সারা দিনে এখানে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। সন্ধ্যার সময় দিনের মতোই এই মার্কেটে জমজমাট কেনাবেচা হয়। এই সময়ে মার্কেটে আগুন লাগায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।

খবর পেয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ঘটনাস্থলে যান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এক নম্বর গদিঘরের দোতলার রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুন যদি মূল মার্কেটের দিকে যেত তাহলে আর রক্ষা ছিল না। এ রকম একটা স্পর্শকাতর জায়গায় এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না। তাঁরা কয়েকবার সভা করে ব্যবসায়ীদের বলেছেন। তাঁরা আমলে নেন না। এখন দেখা যাচ্ছে, জনস্বার্থেই এই জায়গায় একটি পরিকল্পিত মার্কেট গড়ে তোলা উচিত। সেটা করতে পাঁচ বছর লাগলেও করা উচিত।

আরও পড়ুন

মার্কেট পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা সেকেন্দার আলী স্বীকার করেন, মার্কেটটি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। মার্কেটের সামনের রাস্তাও প্রশস্ত নয়। তিনি বলেন, এটা একটা ঘিঞ্জি মার্কেট হয়ে গেছে। এটাকে আধুনিক ও নিরাপদ করে নতুনভাবে গড়ে তোলার কথা বলতে গেলেই সাধারণ ব্যবসায়ীরা ভয় পান। তাঁরা মনে করেন, ভাঙলেই তাঁরা ‘পজেশন’ হারাবেন। তিনি বলেন, অনেক চেষ্টা করে গত বছর তাঁরা সামনের রাস্তায় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে একটা ভূগর্ভস্থ জলাধার করে নিয়েছিলেন। তাতেই রক্ষা হলো।

আরও পড়ুন