ভোমরা বন্দরে যাত্রীর শরীরে পাওয়া গেল ছয়টি সোনার বার
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী একজন যাত্রীর শরীর থেকে ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করেছে ভোমরা ও বেনাপোলের স্পেশাল কাস্টমস গোয়েন্দা দল। উদ্ধার করা সোনার বারের বাজারমূল্য ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
শুক্রবার দুপুরের এ ঘটনায় সুভংকর পাল (২২) নামের ওই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। এরপর তাঁর পায়ুপথ থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। আটক সুভংকর পাল নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মাউলী গ্রামের বিকাশ কুমার পালের ছেলে।
ভোমরা কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা সেলিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল ৬টায় থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোমরা কাস্টমস–সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয় ভোমরা ও বেনাপোলের স্পেশাল কাস্টমস গোয়েন্দা দল। সুভংকর পাল কাস্টমস এলাকা অতিক্রম করে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে প্রবেশের সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তাঁকে সাতক্ষীরার ডক্টরস ল্যাব ও হাসপাতালে নিয়ে তাঁর শরীর এক্স–রে করে পায়ুপথে সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর ভোমরায় নিয়ে এসে তাঁর পায়ুপথ থেকে লাল ও কালো রঙের স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাহের মো. ফকরুল আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে সোনার বার রাখার অভিযোগে সুভংকর পালের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভোমরা কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সেলিম চৌধুরী। এরপর তাঁকে সদর থানায় সোপর্দ ও জব্দকৃত সোনার বার সাতক্ষীরা কাস্টমস গোডাউনে জমা দেওয়া হয়।