পাঁচ দিন বিরতির পর আবারও মিয়ানমারের মংডুতে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর থেকে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায়ফাইল ছবি

পাঁচ দিন বিরতির পর আবারও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর থেকে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায়। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এসব এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।

টেকনাফের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, আজ সোমবার ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মংডু শহর এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসতে থাকে। একই সময়ে মিয়ানমারের মংডু এলাকায় সারা দিন যুদ্ধবিমানের চক্কর দেখা যায়। এর আগে সর্বশেষ ৮ অক্টোবর ওই এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান যুদ্ধ পুনরায় তুমুল হওয়ায় বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে। এসব শব্দ মর্টার শেল ও বোমা বিস্ফোরণের। মংডু টাউনশিপের আশপাশের সুধাপাড়া, মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া, উকিলপাড়া ও নয়াপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হচ্ছে।

মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে নাফ নদের এপারে টেকনাফের সাবরাং এলাকা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফের বাসিন্দারা কিছুটা স্বস্তিতে ছিল। হঠাৎ করে ভোররাতে আবারও বিস্ফোরণের শব্দে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে সাবরাং এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। লোকজন শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে খুবই বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, টানা আট মাসের বেশি সময় রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়ছে আরাকান আর্মি। ইতিমধ্যে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপের আশপাশে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) বেশ কিছু সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে। বর্তমানে মংডু টাউনের অভ্যন্তরে থাকা দেশটির সেনাবাহিনী ও বিজিপির কিছু স্থাপনা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন আরাকান আর্মির সদস্যরা।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে কেউ যাতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে করতে না পারে সে লক্ষ্যে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে।