মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা
মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে বরিশাল ও বরিশাল থেকে ঢাকাগামী দুটি লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বরিশালের হিজলা ও চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার সীমান্তবর্তী মাঝেরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে দুটি লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অল্পের জন্য দুই লঞ্চের যাত্রীরা রক্ষা পেয়েছেন। কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শনিবার রাত আড়াইটার পর ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি প্রিন্স আওলাদ এবং বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি কীর্তনখোলা-১০ নামের দুটি লঞ্চের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের কর্মকর্তারা বলেছেন, সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বরিশালগামী এমভি প্রিন্স আওলাদ লঞ্চটি মেঘনার চরে নিরাপদে নোঙর করা হয়। সেখান থেকে যাত্রীদের অপর একটি লঞ্চে বরিশালে নেওয়া হয়। ঢাকাগামী এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে চলে যায়।
আজ বেলা ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, দুটি লঞ্চের মধ্যে দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বরিশালগামী প্রিন্স আওলাদ লঞ্চটির যাত্রীদের শুভরাজ-৯ নামে অপর একটি লঞ্চে বরিশালে আনা হয়েছে। ঢাকাগামী কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি সকালে ঢাকার সদরঘাটে নিরাপদে পৌঁছেছে। তবে দুর্ঘটনার কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা ৫৮০ জন বলে জানান তিনি।
এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী বলেন, বরিশাল নদীবন্দর থেকে গতকাল রাত ৯টার দিকে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রাত আড়াইটার দিকে মেঘনা নদী দিয়ে যাওয়ার সময় বিকট শব্দ হয়। এ সময় অধিকাংশ যাত্রীই গভীর ঘুমে ছিলেন। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকে ছোটছুটি করতে থাকেন। লঞ্চটিকে দ্রুত নদীতীরে নিয়ে যান চালক। তবে কোনো যাত্রী হতাহত হননি। পরে সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর লঞ্চটি আবার ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
এই যাত্রীদের কথা, গতকাল রাতে ঘন কুয়াশা ছিল। মেঘনা নদীতে এত ঘন কুয়াশা ছিল যে এক হাত সামনেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না।
প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের দুজন যাত্রী বলেন, ঝুঁকি এড়াতে তাঁদের লঞ্চটি আর গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করেনি। আজ সকাল ৯টার দিকে এমভি শুভরাজ-৯ নামে একটি লঞ্চ ঘটনাস্থল থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে বরিশালে যায়।