বাংলাদেশ–ভারত নৌপথে রাতেও নৌযান, বিপদে সুন্দরবন
১২২ কিলোমিটার বাংলাদেশ–ভারত নৌপথের ১০০ কিলোমিটারই সুন্দরবনের মধ্যে পড়েছে।এক যুগে এই পথে নৌযান চলাচল বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে এক যুগে নৌযান চলাচল বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল না করার কথা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে নৌযান চলাচলের কারণে নদী ভাঙছে। কমে যাচ্ছে বনের আকার। বিভিন্ন সময় কয়লা, সিমেন্টের কাঁচামালবাহী জাহাজডুবিতে পানি দূষিত হচ্ছে। এতে বনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
নৌপথে বাণিজ্য সম্প্রসারণে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’ স্বাক্ষরিত হয়। যার আওতায় দুই দেশের নৌপথ ব্যবহার করে প্রতি মাসে কয়েক শ পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ চলছে। ভারতের হেমনগর থেকে এসব নৌযান রায়মঙ্গল নৌসীমান্ত হয়ে সুন্দরবনের রায়মঙ্গল, কাঁচিকাটা, মালঞ্চ, আড়পাঙ্গাসিয়া, বাটুলা নদী দিয়ে খুলনার কয়রার আংটিহারা শুল্ক স্টেশনে পৌঁছায়।
সেখানে কাগজপত্রের কাজ শেষে সুন্দরবনের শাকবাড়িয়া, বজবজা, আড়ুয়া শিবসা, শিবসা নদী হয়ে নলিয়ান-চালনা হয়ে মোংলা বা খুলনায় যায়। চালনা থেকে রায়মঙ্গল পর্যন্ত প্রায় ১২২ কিলোমিটার পথ। এর মধ্যে ১০০ কিলোমিটারের মতো এলাকা সুন্দরবনের মধ্যে পড়েছে। এ পথ পাড়ি দিতে নৌযানগুলোকে অন্তত ৮ ঘণ্টা সময় লাগে।
খুলনা অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো প্রথম আলোকে বলেন, বনের ভেতর দিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে নৌযান চলাচল করলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে, এটাই স্বাভাবিক। বেশি শঙ্কার বিষয় হলো, আগের তুলনায় নৌযান চলাচল অনেক বেড়েছে। এ কারণে বনের কেমন ক্ষতি হচ্ছে, তা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর করণীয় ঠিক করা হবে।
আজ ২১ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব বন দিবস।
দ্বিগুণ হয়েছে নৌযান চলাচল
আংটিহারা শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই নৌপথ ধরে দুই দেশের মধ্যে ৮ হাজার ৩৪২টি জাহাজ চলাচল করেছে। মাসে গড়ে জাহাজ চলেছে ৬৯৫টি। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল মাসে গড়ে ৮৩৭। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে গড়ে ৭০১টি জাহাজ চলাচল করে।
এক যুগ আগেও এই পথে জাহাজ চলাচলের সংখ্যা ছিল প্রায় অর্ধেক। ২০১২ সালে এই পথে ৪ হাজার ২৮১টি জাহাজ চলাচল করে। সে সময় মাসে গড়ে জাহাজ চলাচলের সংখ্যা ছিল ৩৫৭। ২০১৩ সালে জাহাজ চলে ৪ হাজার ৩২৮টি। প্রতি মাসে গড়ে চলেছে ৩৬১টি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দশকে দেশে সিমেন্টশিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ভারত থেকে বেশি আমদানি করা হয় সিমেন্টের কাঁচামাল ফ্লাই অ্যাশ। সিমেন্ট কারখানাগুলো নদীর তীরে হওয়ায় ফ্লাই অ্যাশ আনতে এ নৌপথ ব্যবহার করা হয়। নৌপথে পণ্য পরিবহন স্থলপথের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী। এসব কারণে নৌযান চলাচল বেড়েছে।
রাতেও চলছে নৌযান
বিআইডব্লিউটিএর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগ খুলনার যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আশ্রাফ উদ্দীন বলেন, দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এ নৌপথে নৌযান চলাচল বেড়েছে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এ নৌপথে সুন্দরবনের ভেতরের অংশে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত (রাতে) কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবে না। যেসব জাহাজে বিআইডব্লিউটিএ পাইলট দেয়, পাইলটদেরও এ রকম নির্দেশনা দেওয়া থাকে।
বন বিভাগ, স্থানীয় লোকজন ও জাহাজ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নৌপথের বড় অংশই সুন্দরবনের মধ্যে। দিন-রাতের বিষয় মাথায় না রেখে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন ২০-২২টি জাহাজ চলাচল করে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে বেশির ভাগ জাহাজ খালি যায়। ভারত থেকে সিমেন্টের কাঁচামাল ফ্লাই অ্যাশ, কয়লা, ফার্নেস অয়েল, পাথর, স্টিল সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে ফেরে।
৪ মার্চ কয়রার আংটিহারা শুল্ক স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, স্টেশন-সংলগ্ন সুন্দরবনের শাকবাড়িয়া নদীতে ২০টির মতো লাইটার জাহাজ নোঙর করে আছে। পাশেই আংটিহারা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট। এমভি পদ্মার পাড়-১ জাহাজের মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নির্দিষ্ট কোনো সময় বাঁধা নেই। ৩ মার্চ রাতে বনের মধ্য দিয়ে জাহাজ চালিয়ে আংটিহারা শুল্ক স্টেশন ঘাটে পৌঁছেছি।’
এমভি ইউশা মণি জাহাজের মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘আংটিহারা শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে মূলত আমাদের কাগজপত্র দেখে ছাড়পত্র দেয়। একই কাজ করে কোলকাতার হেমনগর বন্দরেও। তবে সেখানে রাতে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কাজ চলে না। শুধু আংটিহারা শুল্ক স্টেশন রাত–দিন সব সময়ই কাজ করা হয়।’
আংটিহারা শুল্ক স্টেশনের পরিদর্শক মো. কোরবান আলী বলেন, ‘এই রুটে প্রতি মাসে ছয় শতাধিক জাহাজ চলাচল করে। এখানে রাজস্ব নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। আমাদের কাজ শুধু জাহাজ আসা-যাওয়ার বিষয়টি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।’
অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে চলাচল
জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্যের জন্য ১৯৯২ সালে সুন্দরবনকে রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান দেয় ইউনেসকো। এ নৌপথের মধ্যে পানখালী, ঢাংমারী, শিবসা বন্য প্রাণী (ডলফিন) অভয়ারণ্য ও সুন্দরবন পশ্চিম বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য পড়েছে। যেখানে বিপন্ন ইরাবতী ও গাঙ্গেয় ডলফিনের বাস। অতিরিক্ত নৌযান চলাচল ডলফিন বিপন্ন হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন, ২০১২ অনুযায়ী, বিপন্ন প্রাণীর বসতি এলাকায় তাদের স্বাভাবিক বিচরণ ও প্রজননের ক্ষতি হয়—এমন কাজ করা নিষিদ্ধ।
ডলফিন সংরক্ষণ অ্যাকশন প্ল্যানের জাতীয় পরামর্শক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ বলেন, সুন্দরবন ইরাবতী ডলফিনের শেষ আশ্রয়। গাঙ্গেয়, বোতল নাকসহ আরও কয়েকটি প্রজাতির ডলফিনের আবাসস্থল সুন্দরবন। সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ও সংবেদনশীল প্রতিবেশব্যবস্থার কারণে সুন্দরবনে এমনিতেই যন্ত্রচালিত নৌযান চলাচল ক্ষতিকর। বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, ডলফিন ও কুমিরের মতো প্রাণীরা জাহাজ চলাচলের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনের চেয়ে রাতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। কারণ, এই সময়ে প্রাণীরা বিশ্রাম নেয়। রাতে বিকট শব্দ, ধোঁয়া ও ঢেউয়ের কারণে প্রাণীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। বন আইন, বন্য প্রাণী সুরক্ষা আইন এবং সুন্দরবন পর্যটনবিষয়ক নীতিমালা অনুযায়ীও এই বনে রাতে কোনো ধরনের মানুষ বা যন্ত্রচালিত যান চালানো নিষিদ্ধ।
৭ বছরে ১৫ জাহাজডুবি
বন বিভাগ সূত্র জানায়, গত ৭ বছরে এ নৌপথে ১৫টির মতো কয়লা, পাথর, ফ্লাই অ্যাশবাহী (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) নৌযানডুবির ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগই সুন্দরবন ও আশপাশের এলাকায় ডুবেছে। সর্বশেষ গত ২৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে শিবসা নদীতে ফ্লাই অ্যাশবাহী একটি কার্গো জাহাজ ডুবে যায়। প্রায় দুই মাস পর জাহাজটি তোলা হয়। তত দিনে জাহাজে থাকা প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন ফ্লাই অ্যাশ নদীর পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ২০২২ সালে ‘সি-জেন্টাল’ নামে একটি ফ্লাই অ্যাশবাহী জাহাজ আংটিহারা শুল্ক স্টেশন-সংলগ্ন সুন্দরবনের শাকবাড়িয়া নদীতে ডুবে যায়।
নদীভাঙনে বাড়ছে বিপদ
জাহাজ চলাচল বাড়ায় নৌপথের মধ্যে সুন্দরবনের কয়েকটি নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীভাঙনে বনের গাছগাছালির ক্ষতি হচ্ছে। সম্প্রতি কাঁচিকাটা, ঝপঝপিয়া নদীতে ভাঙনের চিত্র দেখা যায়। স্থানীয় বন কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর পাড় ভেঙে বনের আকার ছোট হচ্ছে। আগে যেসব নদীর প্রস্থ ২০ থেকে ৩০ মিটার ছিল, এখন তা ৫০ থেকে ৬০ মিটারে গিয়ে ঠেকেছে।
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নৌপথটি বন্ধ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন। তিনি বলেন, অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে নৌযানগুলো উচ্চ শব্দে চলাচল করে। আগের জরিপে নৌপথের আশপাশের বনে বাঘের অস্তিত্বও পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া নৌযান চলাচলের কারণে জলজ প্রাণীও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে। জাহাজের তেল নিঃসরণ ও গরম পানির কারণে নদীর পানির তাপমাত্রার ভারসাম্য থাকে না। সব মিলিয়ে জীববৈচিত্র্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
অধ্যাপক আবদুল আজিজ বলেন, এই নৌপথের কারণে বন্য প্রাণীর ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে, তা গবেষণা ছাড়া বলা যাবে না। তবে তাঁরা লক্ষ করেছেন, বছর দশেক আগেও কাঁচিকাটা নদী সরু খালের মতো ছিল। এখন দুই পাড় ভেঙে অনেক বড় হয়ে গেছে। জাহাজ চলাচলের কারণেই এমনটি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বন্য প্রাণী পাচারের অভিযোগ
নৌপথে চলাচলকারী জাহাজে কর্মরতদের মাধ্যমে হরিণের মাংস পাচার করার অভিযোগ আছে। গত বছরের ৬ মার্চ আংটিহারা বাজারের কাছ থেকে হরিণের মাংসসহ একটি জাহাজের চার শ্রমিককে আটক করে পুলিশে দেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আংটিহারা শুল্ক স্টেশনে কাজ শেষে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি জাহাজ যায়। ওই সব জাহাজে কর্মরতদের মাধ্যমে সুন্দরবনের হরিণের মাংস পাচার হওয়ার কথা শোনা যায়।
বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, জাহাজে কী ধরনের পণ্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা দেখভালের এখতিয়ার বন বিভাগের নেই। এসব রুট দিয়ে বন্য প্রাণী পাচারের আশঙ্কা থেকে যায়।
মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা
২০১৯ সালে সরকারি উদ্যোগে ঢাকা-কলকাতা নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু হয়। কিন্তু লাভজনক না হওয়ায় একই বছরের মার্চে একবার ভ্রমণ শেষে সেটি গুঁটিয়ে নেওয়া হয়। তবে গত বছরের নভেম্বরে ওই নৌপথ দিয়ে ঢাকা-কলকাতা যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। বেসরকারিভাবে বাংলাদেশের পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এমভি রাজারহাট-সি’ ঢাকা থেকে কলকাতায় নিয়মিত পর্যটক নিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি নৌপথ দিয়ে ভারতের কয়েকটি বিলাসবহুল প্রমোদতরি বাংলাদেশে এসেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম প্রমোদতরি আসার পর যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। শিরোনাম ছিল, ‘গঙ্গা বিলাসে হুমকিতে পড়তে পারে গাঙ্গেয় ডলফিন’।
বিকল্প চিন্তার পরামর্শ
সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই মোংলায় ঘষিয়াখালী চ্যানেল খনন করেছিলেন বলে জানান ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এরপরও সুন্দরবন বাঁচাতে চাইলে বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ করে বিকল্প পথের চিন্তা করতে হবে।
দীর্ঘ মেয়াদে এই পথ ব্যবহার করলে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির আশঙ্কা আছে বলে মনে করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সুন্দরবনের শ্যালা চ্যানেল দিয়ে আগে জাহাজ চলাচল করলেও তা বন্ধ করা হয়েছে। বনকে বাঁচাতে চাইলে এই রুটটাও (চালনা-আংটিহারা) বাদ দিতে হবে। বনের মধ্য দিয়ে না এসে চাইলেই বনের বাইরে দিয়ে আসতে পারে। হয়তো একটু পথটা বেশি হবে, খরচটা বাড়বে।