মামুনুল হকের সঙ্গে গ্রেপ্তার হেফাজতকর্মী মৃত্যুর ঘটনায় আটক ১

আটকপ্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর রয়েল রিসোর্টের ঘটনায় মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে গ্রেপ্তার হেফাজতে ইসলামের কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এস–এর সোনারগাঁ প্রতিনিধি। গত বুধবার রাতে সোনারগাঁর টিপরদী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ওসি জানান, ২০২১ সালের ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর সোনারগাঁ থানায় করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হাবিবুর। বুধবার রাতে মামলার বাদীসহ লোকজন হাবিবুরকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিলের ওই ঘটনার তিন বছর পর গত ২১ অক্টোবর হেফাজতে ইসলামের সদস্য মাওলানা শাজাহান শিবলী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় নারায়ণগঞ্জের সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাবেক পুলিশ সুপারসহ ১২৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক তাঁর স্ত্রীসহ ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সোনারগাঁর রয়েল রিসোর্টে অবকাশযাপনের জন্য আসেন। ওই সময় দুই সাবেক সংসদ সদস্যের ষড়যন্ত্রে পুলিশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এজাহারনামীয় ১২৮ আসামিসহ অজ্ঞাতনামা অন্তত ১৫০ আসামি মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তা করে রিসোর্ট থেকে বের করে দেন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোনারগাঁর হেফাজতকর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মামুনুল হককে হেনস্তার জোরালো প্রতিবাদ করেন।

আসামিরা  ইকবাল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল–ঘুষিসহ রড দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠান। ওই সময় পুলিশ তাঁকে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে। নির্যাতনে ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল মাওলানা ইকবাল মারা যান।