বরিশালে ইলিশ রক্ষার অভিযানে আবারও হামলা, ইউএনওসহ আহত ৫
বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে জেলেদের হামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) পাঁচজন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে হিজলা-গৌরাব্দি ইউনিয়নের ওরাকল বাজারের ৭ নম্বর ঘাট–সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন আনসার সদস্য এবং অন্যরা মৎস্য বিভাগের কর্মচারী। ঘটনার পরপর তাৎক্ষণিকভাবে ১১ জেলেকে আটক করে পুলিশ।
১৩ অক্টোবর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর এ নিয়ে অভিযান পরিচালনাকারী দলের ওপর তিন দফায় হামলা হলো। এতে অন্তত চারটি উচ্চগতিসম্পন্ন রেসকিউ বোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে ইউএনওর নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য বিভাগ, র্যাব-৮, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে ওরাকল বাজারের ৭ নম্বর ঘাট–সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে ৫ থেকে ৬টি বড় ট্রলারে ৬০ থেকে ৭০ জন জেলে অবৈধভাবে ইলিশ শিকার করছিলেন। তাঁদের মাছ ধরতে নিষেধ করার পাশাপাশি একটি নৌকাসহ কয়েকজন জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় মেঘনার ওই অংশে অবস্থানরত জেলেরা অভিযান পরিচালনাকারী দলের ওপর হামলা করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে ইউএনও জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জেলেরা আমাদের বোট লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়ছিল। আমরা হেলমেট, জ্যাকেট পরে আত্মরক্ষার চেষ্টা করি। আমরা অপেক্ষা করছিলাম, যাতে ওদের (জেলেদের) কাছে থাকা ইট, পাথর ফুরিয়ে আসে। কিন্তু এরপর যখন মুহুর্মুহু আগুনের গোল্লা নিক্ষেপ করতে শুরু করে তখন আতঙ্ক আরও বাড়ে। কারণ, আমাদের বোটগুলো ফাইবারের। এতে পেট্রলের মতো হালকা জ্বালানি আছে। পরে আত্মরক্ষার্থে তিনটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের থামানো হয়েছে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।’
১১ জেলেকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। তিনি আজ শনিবার সকালে বলেন, আটক চারজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।