লালমনিরহাটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে গৃহবধূ হাসিনা বেগমকে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ দল। রোববার দুপুরে লালমনিরহাট শহরের খুটামারা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আশরাফুল ইসলাম (৫০)। তিনি পেশায় ভ্যানচালক। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী, ডিবি পুলিশের ওসি সাদ আহম্মেদ ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাদল কুমার মণ্ডল।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল ইসলামকে লালমনিরহাটের ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোমবার এসপি অফিসের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য–উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে।
আশরাফুল ইসলাম লালমনিরহাটের আদিতমারীর দূর্গাপুরের দীঘলটারী গ্রামের বাসিন্দা। নিহত হাসিনা বেগম আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। গত বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাতের আঙুলের ছাপ থেকে রংপুরের সিআইডি পুলিশ নিশ্চিত করে, মরদেহটি আশরাফুলের স্ত্রী হাসিনা বেগমের। হাসিনা আদিতমারীর দীঘলটারী গ্রামের কাশেম আলীর মেয়ে হাসিনা বেগমের।
ঘটনার পর থেকে নিহত হাসিনা বেগমের স্বামী আশরাফুল ইসলাম ও তাঁর প্রথম স্ত্রী মেহেরুন্নেসা উধাও হয়ে যান। গত শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ মেহেরুন্নেসাকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে আসে। শনিবার মেহেরুন্নেসা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁর সতিন হাসিনা বেগমের বিচ্ছিন্ন মাথা পুঁতে রাখার তথ্য দেন। সেই তথ্যানুযায়ী আদিতমারীর দূর্গাপুরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার একটি তামাকখেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় হাসিনার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়।