পঞ্চগড়ে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বক্তব্যের পর মুক্তিযোদ্ধার ক্ষমা প্রার্থনা
পঞ্চগড়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম। এ ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি করেন। এ ঘটনায় সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা।
গতকাল বুধবার পঞ্চগড় সরকারি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন। পরে তাঁর বক্তব্যের সূত্র ধরে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ মন্তব্য করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম।
ওই মুক্তিযোদ্ধা তাঁর বক্তব্যে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেন। এ সময় ঐতিহাসিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না, স্বাধীনতা আসত না’—এমন বক্তব্য দেন। পাশাপাশি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকেন। এ সময় উপস্থিত অনেকেই তাঁকে বক্তব্য বন্ধ করতে বললেও তিনি বক্তব্য চালিয়ে যান। এতে মিলনায়তনজুড়ে হট্টগোল শুরু হলে একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলীর হস্তক্ষেপের পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে রাতেই তাঁর বক্তব্যের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে সায়খুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। এমনকি তাঁর বাড়ি ঘেরাও করারও দাবি করেন কেউ কেউ।
এ ঘটনার পর আজ সকালে নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গতকাল স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্যটি দিয়েছিলাম, তা আমার জানার একটু ভুল ছিল। বিধায় আমি বক্তব্যটি প্রত্যাহার করে নিলাম। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি সবার নিকট ক্ষমাপ্রার্থী।’
জানতে চাইলে সায়খুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছিলাম, তাতে আমার কিছুটা ভুল ছিল। এ জন্য বক্তব্যটি প্রত্যাহার ও ক্ষমা প্রার্থনা করে আমি ফেসবুকে ভিডিও দিয়েছি। এতে আমাকে কেউ কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করেননি।’