সিরাজদিখানে জমি নিয়ে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় দুই পক্ষের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেছে এক যুবকের। আজ শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই যুবক মারা যান।
নিহত যুবকের নাম ফালান মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। পক্ষ দুটি হলো চরগুলগুলিয়া গ্রামের ইয়াকুব মিয়া এবং মো. জয়নাল মিয়া। ফালান ইয়াকুবের পক্ষের লোক ছিলেন। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রামে ওই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরগুলগুলিয়া গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের জয়নাল মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে পক্ষ দুটি শুক্রবার সকালে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষ চলাকালে ফালান মিয়া বুকে টেঁটাবিদ্ধ হন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহত ফালানকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত অপর ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার এড়াতে লুকিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনার পর গ্রামটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিরাজদিখান থানার ওসি মিজনুল হক সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে ফালান নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছেন। ঘটনার পর থেকে দুই পক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
চরগুলগুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, কয়েক দফা দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরবর্তী সময়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা করে। এ সময় জয়নাল পক্ষের এক ব্যক্তি ফালান মিয়াকে লক্ষ্য করে টেঁটা নিক্ষেপ করে। টেঁটা সরাসরি ফালান মিয়ার বুকের মাঝবরাবর ঢুকে যায়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।