খুন নয়, ট্রাক চাপায় মারা যায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কিশোর সাদমান

সাদমান সানিদুর

চট্টগ্রামে বেড়াতে এসে লাশ হলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সাদমান সানিদুর (১৭) নামের এক কিশোর। আজ রোববার সকালে নগরের খুলশী থানার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকা থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিল সাদমান। প্রথমে সাদমানকে খুন করা হয়েছে ধরাণা করা হলেও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, ট্রাকের নিচে চাপা পড়েই তার মৃত্যু হয়।

নিহত সাদমানের চাচা মোহাম্মদ মুসলিম প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির ঈদের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে বেড়াতে আসে সাদমান। এর আগে তার মা দেশে এসেছিলেন। সাদমানদের বাসা নগরের বাদুড়তলা এলাকায়। সেখান থেকে গত শুক্রবার নগরের হিলভিউ এলাকায় মামার বাসায় বেড়াতে যায় সে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে বাদুড়তলা বাসায় যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বাসায় দুপুরের পরও না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

সাদমানের চাচা মোহাম্মদ মুসলিম প্রথম আলোকে বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তাঁরা আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন। সেখানে দেখতে পান, মামার বাসার সামনে থেকে অটোরিকশায় ওঠার ১০ মিনিট পর সাদমান আরেকটি গাড়িতে ওঠেন। তাঁরা দেখতে পান, গাড়িটি সর্বশেষ রুবি গেট পর্যন্ত যায়। এরপর তাঁরা আর হদিস পাননি। এরপর তাঁরা থানায় যান নিখোঁজ ডায়েরি(জিডি) করতে।

সাদমানের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে, ট্রাক চাপায় তার মৃত্যু হয়েছে। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল নগরের পলিটেকনিক এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেছে দেখা গেছে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে নিহত হন সাদমান। তার পরিবার সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দিলে পুলিশ মামলা নেবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ট্রাক চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সিসি ক্যামেরা দেখা যায়, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ট্রাকের নিচে চাপাপড়েন সাদমান। এত রাতে সেখানে কেন ও কীভাবে গেলেন তা জানা যায়নি। নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যেতে চাইছিলেন না সাদমান। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে তার টানাপোড়েন চলছিল। এ জন্য মামার বাসা থেকে আর বাদুরতলার বাসায় সে ফেরেনি।