রায়পুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু, আহত ১০
নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল শ্রীনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. আজগর আলী (৫৫)। তিনি শ্রীনগর ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামের মৃত মো. আশরাফ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গজারিয়াকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ সক্রিয়। এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান সদস্য খালেক মিয়া ও আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম। খালেক মিয়ার সমর্থক ছিলেন আজগর।
এর আগে চলতি বছরের ১৩ জুলাই দুই পক্ষের সংঘর্ষে মফিজ উদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি ছিলেন শাহ আলমের পক্ষের সমর্থক। এ ঘটনার পর থেকেই মামলা-হামলার ভয়ে খালেকের পক্ষের শতাধিক লোক গা ঢাকা দিয়েছিলেন। আজ ভোরবেলা খালেকের অর্ধশতাধিক সমর্থক এলাকায় ঢুকতে গেলে শাহ আলম পক্ষের সমর্থকেরা তাঁদের বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে আজগর আলী টেঁটাবিদ্ধ হন। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে জানতে বর্তমান ইউপি সদস্য খালেক মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহ আলমের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তবে দুজনের কেউই সাড়া না দেওয়ায় এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে শ্রীনগর ইউনিয়ন ইউপির চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে আজ ভোরে এলাকাছাড়া লোকজন গ্রামে ঢুকতে গেলে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন।
রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘একজনের মৃত্যুর খবর আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাঁর লাশ এখনো ঘটনাস্থলেই আছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ওই এলাকায় যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’