‘এস আলমমুক্ত’ তিন ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের সড়ক আটকে বিক্ষোভ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বেলা ১১টায়প্রথম আলো

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক আটকে তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছেন। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভের কারণে এক ঘণ্টা মহাসড়কে কোনো যান চলাচল করেনি। এ ছাড়া দুপুর ১২টা পর্যন্ত তীব্র যানজটে মইজ্জারটেকের উভয় পাশে আটকে পড়েছিল যানবাহন।

বিক্ষোভে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের এক হাজার কর্মকর্তা অংশ নেন। এই তিন ব্যাংকের পরিচালনায় ছিল বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। ব্যাংক তিনটি থেকে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নিয়ে বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে এস আলমের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম বিদেশে পাড়ি জমান। এরপর ব্যাংকগুলোকে এস আলমমুক্ত করে পরিচালনা পর্যদ ঢেলে সাজায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থানকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত যান চলাচল করেনি। ওই সময় মইজ্জারটেকের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ইসলামী ব্যাংকের ৩৫০, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৬৭২ জন ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬২ জনকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের বহাল না করলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বেলা ১১টায়
প্রথম আলো

আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা জোর করে চাকরিতে নিয়োগ পাইনি। আমাদের বৈধ প্রক্রিয়ায় চাকরি হলেও আমাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমরা সসম্মানে চাকরিতে বহাল হতে চাই।’

মানববন্ধন বক্তব্য দেন ব্যাংক কর্মকর্তা নুর উদ্দিন জিসান, মো. হিরু, নাছিমা আক্তার, কুসুম আকতার প্রমুখ।