লালমনিরহাটে মাথাবিহীন নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে, স্বামী পলাতক

মরদেহ
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাট সদরের মোগলহাটের ফুলগাছ গ্রামের ভুট্টাখেত থেকে গত বুধবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া মাথাবিহীন নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে। ওই নারী জেলার আদিতমারীর দুর্গাপুরের দীঘলটারী গ্রামের কাশেম আলীর মেয়ে। তাঁর নাম হাসিনা বেগম।

আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রংপুর ক্রাইমসিন ইউনিট।

নিহত হাসিনা বেগম দীঘলটারী গ্রামের আশরাফুল ইসলামের (৪৮) স্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে তাঁর স্বামীর বাড়িতে নেই। ওই বাড়িতে গিয়ে আশরাফুলকে পায়নি পুলিশ। ঘর থেকে রক্তমাখা কালো রঙের একটি জ্যাকেট ও ধুলাবালুমাখা একটি জামা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া আশরাফুলের ঘর থেকে একটি দেশি অস্ত্র (হাঁসুয়া) উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাদল কুমার মন্ডল বলেন, মাথাবিহীন অজ্ঞাতপরিচয় নারীর লাশের আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার ওই নারীর লাশ উদ্ধারের পর লালমনিরহাট সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেন যে ভুট্টাখেতে মরদেহটি পাওয়া গেছে সেই জমির মালিক শফিকুল ইসলাম।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে নিহত হাসিনা বেগমের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। স্বজনেরা এলে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা বেগম। হাসিনার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আগের স্বামী নুর ইসলামের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর প্রথম স্ত্রী মেহেরুন নাহারও পলাতক। বাড়িতে থাকা আশরাফুল ইসলামের পুত্রবধূ ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন।

এদিকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত নিহত গৃহবধূ হাসিনা বেগমের বিচ্ছিন্ন মাথা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর পলাতক স্বামী আশরাফুল ইসলামকেও আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, তদন্তের পাশাপাশি পলাতক আশরাফুল ইসলামকে আটকের তৎপরতা চলমান।