কিশোরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ জন নিহতের দাবি বিএনপির, একজনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে পুলিশ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পুলিশ। তবে বিএনপির দাবি, পুলিশের গুলিতে তাঁদের দুজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনায় দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিল্লাত বলেন, ‘আমাদের মিছিল ছিল খুবই শান্তিপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে রিফাত ও বিল্লাল নামে আমাদের দুইজন নেতা মারা যান।’
রিফাত উল্লাহ উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি। বিল্লাল মিয়া একই ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি। রিফাতের মরদেহ বর্তমানে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। বিল্লালের মরদেহ ঘটনাস্থলে আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। ঘটনার পর পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মস্তুফা বলেন, মিছিলকারীরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালান। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের অনেকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওসি বলেন, তাঁর জানামতে এ ঘটনায় একজন মারা গেছেন। তবে সেটি গুলিতে, নাকি অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন, তা নিশ্চিত নয়।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, অবরোধের প্রথম দিনে আজ সকাল আটটার দিকে ছয়সূতি ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নিয়ে উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়ামাত্র আগে থেকে অবস্থান নেওয়া পুলিশ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ২০ থেকে ২৫ জন আহত হন।
তবে পুলিশের দাবি, মিছিলকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আগে পুলিশের ওপর হামলা করেন। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ পাশের একটি বাড়িতে অবস্থান নেয়। সেখানে গিয়েও বিএনপির কর্মীরা হামলা করেন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিছিলকারীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।