কুলাউড়ায় সরকারি টিলাভূমির অবৈধ ইকোপার্ক ও ফলবাগান গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

সরকারি টিলায় গড়ে তোলা ইকোপার্ক ও ফলবাগান উচ্ছেদ অভিযান। আজ শুক্রবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ২০ একর সরকারি টিলাভূমি অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তোলা ‘রোকনটিলা ইকোপার্ক ও আনোয়ারাবাদ ফ্রুটস গার্ডেন’ গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। আজ শুক্রবার দিনভর মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জমিতে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে সরকারি মালিকানার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা ছয়ফুল ইসলাম ওরফে রোকন মিয়া তথ্য গোপন করে ১৯৯২-৯৩ সালে কর্মধা ইউনিয়নের রাঙ্গিছড়া টি এস্টেট (চা-বাগান) মৌজায় ২০ একর সরকারি টিলাভূমি নিজের নামে নামজারি করে ফেলেন। ১০-১২ বছর আগে তিনি ওই স্থানে ইকোপার্ক ও ফলবাগান স্থাপন করেন। কয়েক বছর আগে প্রশাসনের কর্মকর্তারা অনুসন্ধান চালিয়ে ওই জমি সরকারি বলে চিহ্নিত করেন। পরে জমির নামজারি বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে জমির ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আজ বেলা ১১টার দিকে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে অভিযান শুরু করে। চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে কুলাউড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কুলাউড়া থানার পুলিশের একটি দলও উপস্থিত ছিল।

সহকারী কমিশনার শাহ জহুরুল হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, অভিযানের সময় পাকা তোরণ, আধা পাকা কয়েকটি ঘর, বিভিন্ন রাইড ও পাকা বেঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। জমিটির মালিক সরকারের পক্ষে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক উল্লেখ করে সেখানে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জমি উদ্ধারে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে ছয়ফুল ইসলাম মুঠোফোনে দাবি করেন, তিনি খরিদাসূত্রে ওই জমির মালিক। অভিযানের আগে তাঁকে কোনো নোটিশ করা হয়নি। জমির মালিকানা ফিরে পেতে ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।