মানিকগঞ্জে গুলিতে কলেজছাত্র নিহত, থানা ভাঙচুর

মানিকগঞ্জ জেলার মানচিত্র

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় নৌ পুলিশের গুলিতে রফিকুল ইসলাম ওরফে চঞ্চল (২১) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। এদিকে শিবালয় নৌ থানা ও শিবালয় থানায় অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রফিকুল উপজেলার রূপসা গ্রামের রহিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার মহাদেবপুর ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। গুলিবিদ্ধ সাকিব হোসেনকে (২২) জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে নৌ পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে রফিকুল ও সাকিব গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেল চারটার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে রফিকুল মারা যান। এদিকে বিকেল পাঁচটার দিকে শিবালয় থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। এ সময় পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুজন সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা
দুপুরের পর থেকে জেলা শহরে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জেলা শহরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু চত্বর, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খানের মালিকানাধীন বহুতল ভবন ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীনের বাসায় হামলা চালান এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেন। এরপর সন্ধ্যায় জেলা শহরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর তসলিম হৃদয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

আনন্দমিছিল
বিকেলর পর থেকে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা সদরে আনন্দ-উল্লাস করেন হাজার হাজার ছাত্র ও জনতা। তাঁরা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।