নবীনগর ও বিজয়নগরে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বহিষ্কৃত দুই নেতা জয়ী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবীনগর ও বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত দুই নেতা জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা। গতকাল বুধবার চতুর্থ ধাপে ওই তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়।
নবীনগরে উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা থেকে বহিষ্কৃত ফারুক আহমেদ আনারস প্রতীকে ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড় প্রতীকের প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট। ফারুক আহমেদ পক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সমর্থন দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এ উপজেলায় ভোট পড়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪২২টি। এখানে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ২৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বিজয়নগরে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কৃত মো. আল জাবের আনারস প্রতীকে ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট। এ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৮৯ হাজার ৪৮৩ ভোট। এখানে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন (শোভন) প্রতীক আনারস প্রতীকে ৯২ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট। সদর উপজেলায় ভোট পড়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৬১ ভোট। এখানে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৪১। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ২৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সদরে শাহাদাৎ হোসেন, বিজয়নগরে মো. আল জাবের এবং নবীনগরে ফারুক আহমেদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিন উপজেলায় ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন অভিযোগে ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।