সোনাতলায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধূ (৩০)। আজ মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় মামলা করেছেন।
বাদী অভিযোগ করে বলেন, দিনমজুর স্বামীর অবর্তমানে রাতের বেলা ছাত্রলীগ নেতা সুজন কুমার ঘোষ তাঁর ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করছেন। বিষয়টি কাউকে জানালে সন্তানসহ হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর কারণে এত দিন চুপ ছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২৫ জুলাই আবারও ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর সুজন কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত সুজন কুমার ঘোষ সোনাতলা উপজেলার নামাজখালী গ্রামের সুভাষ ঘোষের ছেলে। সুজনের মা সোনাতলা সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।
ওই গৃহবধূ আরও বলেন, লাগাতার এই নির্যাতন সহ্য করতে পারছিলেন না। সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই সুজন ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
ওই গৃহবধূ জানান, তিনি দুই সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী বগুড়া শহরের একটি পেট্রলপাম্পে শ্রমিকের কাজ করেন। স্বামী প্রতিদিন সকালে শহরের উদ্দেশে বের হয়ে যান এবং রাতে বাড়িতে ফেরেন। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা সুজন কুমার ঘোষ কয়েক বছর ধরে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করছেন। ধর্ষণের কথা কারও কাছে ফাঁস করলে স্বামী, সন্তানসহ হত্যা ও লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ কারণে ভয়ে চুপ থেকেছেন এত দিন।
ওই গৃহবধূ আরও বলেন, ‘লাগাতার এই নির্যাতন সহ্য করতে পারছিলাম না। সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই সুজন ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণ করেন। এবার আর চুপ থাকব না সিদ্ধান্ত নিই। বিষয়টি প্রথমে স্বামীকে জানাই। স্বামীর পরামর্শে আজ থানায় ধর্ষণের মামলা করেছি।’
এদিকে মামলার পরপরই অভিযুক্ত সুজন কুমার ঘোষ আত্মগোপন করেছেন। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, গৃহবধূ বাদী হয়ে সুজন কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেওয়ার পর প্রাথমিক তদন্ত শেষে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুজন কুমার ঘোষ আত্মগোপন করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কাল বুধবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।