নাশকতার মামলায় নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ১৪ নেতা-কর্মী কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লতিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শহীদ ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক মোতাহার হোসেন চৌধুরীসহ দলের অন্তত ১৪ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে তাঁরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন।

আওয়ামী লীগের ১৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, একটি নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় লতিফুর রহমানসহ আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ দুপুরে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাজিবুল হোসেন তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লতিফুর রহমান মোহনগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং নেত্রকোনা জজকোর্টের আইনজীবী। আর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ ইকবাল মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। এ ছাড়া মোতাহার হোসেন চৌধুরী বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর লতিফুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের ২৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ২০০ জনকে। মামলার বাদী মোহনগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক এজাহারে উল্লেখ করেন গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মোহনগঞ্জ স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার ওপর আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর (ফজলুল হক) টেংগাপাড়া এলাকায় বাসাবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, দেশি অস্ত্র ব্যবহার ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ করা হয়।

নেত্রকোনা কোর্ট পরিদর্শক-২ সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জেলার মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল হান্নান তালুকদারসহ ২৮ নেতা-কর্মীর জামিনও নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল রোববার বিকেলে নেত্রকোনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক এস এম রাজিবুল হাসান তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন উল্লেখ করে তাঁদের আইনজীবী দিদারুল হক চৌধুরী বলেন, মদনের চানগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা শামসুল হক ৮ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় বাদী উল্লেখ করে গত ২০২২ সালের ২৩ এপ্রিল তাঁর দোকানে সংঘবদ্ধ আসামিরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান বলে অভিযোগ করা হয়।